Eastmedinipur

Mar 02 2023, 18:13

*মীরা ফিরে পেলো পরিবার, প্রশাসনের চেস্টায় পাড়ি দিলো মুম্বাই*
তমলুকঃ মীরা ফিরে পেলো পরিবার, প্রশাসনের হাত ধরে পাড়ি দিলো মুম্বাই। বৃহস্পতিবার মীরাকে তার মা এবং মুম্বাই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলো। উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক, সেক্রেটারি জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট সুদীপ্ত বিশ্বাস , জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সারদা গিরি সহ অন্যান্যরা। জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারীক সুদীপ্ত বিশ্বাস জানান, হোমে তাদের চিরকাল রাখা যায় না।

খোঁজ খবর করে বাড়ি ফেরাতে হয় সেই প্রক্রিয়া সফল হলো এবং শুধু বাড়ি ফেরানো নয়, যেটুকু সময় পাওয়া যায় হোমে রাখার জন্য সেই সময়কালে তাদের প্রতিভাগুলি খুঁজে তাকে বিকশিত করে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোই হোমের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতি হোম কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীরা। সেজন্য তারা প্রশংসার দাবি রাখে। দরিদ্র পরিবারে জন্মানো মেয়েটির লেখাপড়া শেখার কোন সুযোগ ছিল না। অপুষ্টি অনাহারে বেড়ে ওঠা মীরার বিয়ে হয় মাত্র ১৩ বছর বয়সে।

অনাহারের তাড়নায় মীরা রোজকারের জন্য কাজ শুরু করে । রোড কন্ট্রাক্টারের অধীনে সামান্য পয়সার কাজ-তারপর ১৬ বছর বয়সে দুটি সন্তানের মা হয়ে ওঠা,রোজগার বাড়াতে হবে এই চিন্তায় প্রতিদিন কাজে আসা মীরাকে এমনই একদিন এক অচেনা মহিলা বলে ভিন রাজ্যে কাজে যাবে? প্রতিদিন অনেক টাকা পাবে,বাড়ির ছেলে মেয়েদের আনন্দে রাখতে পারবে ,তাদের লেখাপড়া শেখাতে পারবে। এই লোভে মীরা রাজি হয়ে যায় । নিজের জন্য নয় ,ছেলেমেয়েদের দুবেলা পুষ্টিকর খাওয়ার দিতে পারবে আর লেখাপড়া শেখানোর জন্য স্কুলে পাঠাতে পারবে এই কথা ভেবে মীরা রাজি হয়ে যায় ।

তারপর অচেনা মহিলার সঙ্গে একদিন ট্রেনে উঠে পড়ে ২০১৬ সালে। ট্রেনে আসতে আসতে মীরার মন খারাপ হয় বাড়িতে ফেলে আসা ছেলে-মেয়ে আর মায়ের জন্য। কোন এক স্টেশনে নেমে পড়ে উদ্ভ্রান্তের মতো নিজের বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে মেছাদাতে নেমে হাঁটতে হাঁটতে রাতের দিকে রামতারক এসে পৌঁছালে তমলুক থানার মোবাইল গাড়ির কার্যরত পুলিশের সন্দেহ হয় ।তারা তখন মীরাকে উদ্ধার করে নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির জুভেনাইল জাস্টিস হোমে আনে ।তারপর হোম কর্তৃপক্ষ CWC র অর্ডার করিয়ে হোমে রাখে।


শুরু হয় শারীরিক চিকিৎসা , মানসিক আর কাউন্সেলিং ।সঙ্গে সঙ্গে মিরার শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব রকম প্রচেষ্টা ,কাউন্সিলিং করে জানা যায় মীরার বাড়িতে মা,ছেলেমেয়ে আছে। এবার বাড়ি ফেরানোর জন্য তোড়জোড় শুরু হল। মীরা বলতে থাকে বিহারে বাড়ি, বিহারের ধারোড, একমিনার মসজিদ,নাদেরপেড়। এই নামগুলো আলতো আলতো হিন্দিতে বলে ।তখন হোম এর ঈশিতা জানা,দেবশ্রী ত্রিপাটিরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে মোবাইলের সাহায্যে বিহারের ওই জায়গাগুলো খুঁজতে থাকে ,কিন্তু না পেয়ে অন্যান্য রাজ্যে আছে কিনা খুঁজতে খুঁজতে একটি নাম পায়।

তখন মহারাষ্ট্রের পুলিশের সাহায্য নিয়ে তল্লাশি শুরু করতে করতে হঠাৎ করে একদিন পারভনী জেলায় ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। তারপর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওরা জানায় ২০১৬ সালে ওখানে একটি মিসিং ডায়েরী হয়েছে মীরার নামে। তারপর মীরার ছবি পাঠানো হয়। সেখান থেকে চিনতে পারে ।হারিয়ে যাওয়া সেই মেয়েটিকে এরপর বাড়ি ফেরানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়।ইতিমধ্যে মীরা হোম থেকে হাত সেলাইয়ের কাজ শিখে গেছে। শুধু সেলাই নয় , খেলাধুলোও মীরা খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত করে ।স্পেশাল অলিম্পিকে NCC Floorball প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে অংশগ্রহণ করে ব্রোঞ্জ ছিনিয়ে আনে ।এর জন্য পঃবঃ সরকার মীরাকে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে সম্মানিত করে ২০২১ সালে। সব মিলিয়ে জীবন যুদ্ধে হারিয়ে গিয়েও হোমে এসে মীরা হারিয়ে যায়নি।

শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে নিজের উপার্জিত প্রায় ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতে পুত্র- কন্যার কাছে মায়ের হাত ধরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে মীরা হারনি গাইকোয়াড়। বাড়িতে ছেলে এখন চতুর্থ শ্রেণীতে আর কন্যা নবম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে। মা বিমলা পান্ডুরাম গাইকোয়াড় দীর্ঘ ছয় বছর পরে মেয়েকে ফিরে পেয়ে বেজায় খুশি ।মীরা ফিরে গেলে নাতি নাতনি কে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠবে গরিব মীরার পরিবার। হোমের সুপার সঞ্চিতা গিরি জানান ,মীরা যখন হোমে আসে তখন শারীরিক মানসিকভাবে খুব বিধ্বস্ত ছিল ।প্রায় অসম্ভব ছিল ওকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু মীরার একটা গুন ছিল ।ও খুব মিশুকে আর পরিশ্রমী ।এই গুনগুলোকে সম্বল করে হোমের পুরো টিম আর জেলা প্রশাসনের চেষ্টা ও নির্দেশকে কাজে লাগিয়ে ওর দক্ষতা বৃদ্ধি করে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি। এই সময়কালের সাফল্য আজকের মীরা। ও বাড়ি ফিরে যাচ্ছে মন খারাপ হলেও আমরা খুব খুশি ওর পরিবার পরিজনদের হাতে তুলে দিতে পেরে।

এভাবেই সালমা, নাসিমা ,সোনিয়া ,পূজাদের বাড়ি ফেরানোর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ।সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মীরার সম্পর্কে জানান,হোমে এলে সুস্থ সবল করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে দক্ষতা বৃদ্ধি করে স্বনির্ভর করে বাড়ি ফেরানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে এতেই আমাদের আনন্দ । মীরার জন্য হোমের অন্য সব বন্ধুদের মনে বড় দুঃখ ,তবুও মীরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে এটাই আনন্দ।

Eastmedinipur

Mar 02 2023, 11:54

*সংগ্রামী সুশীলকুমার ধাড়ার ১১৩ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন*
মহিষাদলঃ বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী সুশীলকুমার ধাড়ার কর্মকান্ড তুলে ধরতে প্রতিবছরের মতো এবছর স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীলকুমার ধাড়ার ১১৩ তম উদযাপন করা হয়। বৃহস্পতিবার মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি ও স্বামী প্রঞ্জানানন্দ স্মৃতি রক্ষা সমিতির উদ্যোগে জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। প্রাঞ্জানানন্দ স্মৃতি রক্ষা সমিতির ভবনে জন্ম জয়ন্তীর অনুষ্ঠান পালিত হয়।

সুশীলকুমার ধাড়ার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করার পাশাপাশি স্মৃতি চারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনটিকে পালন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন সামন্ত, মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী, বিডিও যোগেশচন্দ্র মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হরিপদ মাইতি, স্বামী প্রঞ্জানান্দ স্মৃতি রক্ষা সমিতির সভাপতি সম্পাদক শীতলপ্রসাদ বাগ সহ অন্যান্যরা। ১৯১১ সালের ২ মার্চ অবিভক্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের অদূরে অবস্থিত মহিষাদলের টিকারামপুরে সুশীল কুমার ধাড়া জন্মগ্রহণ করেছিলেন।


স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজনীতির সঙ্গে। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় গঠিত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের যুদ্ধ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তমলুকের এই সমান্তরাল সরকারের "বিদ্যুৎ বাহিনী" নামক সশস্ত্র সেনাদলের সর্বাধিনায়কও ছিলেন সুশীল ধাড়া। ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ সরকার সুশীল ধাড়াকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় ধরে দেওয়ার জন্য দশ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ব্রিটিশ আমলে তিনি বারো বছর চার মাস জেল খেটেছিলেন।


স্বাধীন ভারতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একাধিক নির্বাচনে জয়ী হন সুশীল ধাড়া। তিনি মহিষাদল কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং রাজ্য মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে তমলুক কেন্দ্র থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন সুশীল ধাড়া। আশির দশকে রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে পুরোপুরি সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন তিনি। ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়

Eastmedinipur

Mar 01 2023, 18:25

*মহিষাদল রাজবাড়ির শান্তিকুঞ্জে দোলে কড়া নজদারি,হেল্প ক্যাম্প ও রুট ম্যাপ প্রকাশ*


মহিষাদলঃ ৭ ই মার্চ দোলপূর্ণিমা।দোলের দিন শান্তিনিকেতনে হচ্ছে না বসন্ত উৎসব।ভীড় জমবে মহিষাদল রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে। মহিষাদল প্রেস কর্নারের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় " বসন্ত উৎসব"। এবছর ১৪ তম বর্ষে পড়লো। গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে মানুষের ঢ্ল নেমেছিলো এবছর তা আরও বাড়বে এমনটাই মনে করছে সাংবাদিক সংস্থা মহিষাদল প্রেস কর্নারের প্রতিনিধিরা। গতবছর লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটেছিলো।উৎসব প্রাঙ্গণে যাতে সুষ্ঠু ভাবে আসতে পারে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে কড়া নজদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে যেমন পুলিশ ও সংস্থার সেচ্ছাসেবকরা থাকবেন তেমনি উৎসব এলাকায় একাধিক সিসিটিভিতে নজদারি করা হবে। আগত মানুষজনদের যাতায়াতের  সহযোগিতা করার জন্য এলাকায় এলাকায় থাকছে হেল্প ক্যাম্প। সহজেই যাতে উৎসব প্রাঙ্গণে পৌছাতে পারে তার জন্য রুটম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।

বুধবার মহিষাদল প্রেস কর্নারের ১৪ তম বর্ষের খুঁটি পুজোর মধ্যদিয়ে উৎসবের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়। সেই সাথে মহিষাদল প্রেস কর্নারের বসন্ত উৎসব নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেই সাংবাদিক বৈঠকে রুটম্যাপ, সংস্থার " আবির" নামক স্মরণিকার প্রচ্ছদ প্রকাশ হয়। ৭ ই মার্চ সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ২৩ টি সংস্থার ২৯৯ জন শিল্পীদের নিয়ে নাচ, গান ও আবৃত্তি জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাতে অতিথি শিল্পী হিসাবে উপস্থিত থাকবেন লোকো শিল্পী দীপ চ্যাটার্জি। নাচ, গান, আবৃত্তির পাশাপাশি গুণীজন সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান সংস্থার সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী, সম্পাদক ভোলানাথ বিজলী।

Eastmedinipur

Mar 01 2023, 18:24

*প্রান্তিক এলাকার ছেলে মেয়েদের খেলায় আগ্রহ বাড়াতে মহাত্মাগান্ধী ব্যাডমিন্টন একাডেমি পথচলা শুরু*
মহিষাদলঃ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধূলায় বরাবরই এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। সেই জেলার প্রান্তিক এলাকার ছেলে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন খেলায় আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে বুধবার মহিষাদল গার্লস কলেজের জিবনাসটিক হলে "মহিষাদল মহাত্মাগান্ধী ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমি" এর পথ চলা শুরু হলো। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ব্যাডমিন্টন এসোসিয়েশনের সহযোগিতায়, মহিষাদল গার্লস কলের ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষন শিবিরের আয়োজন করা হয়।

শিবিরের উদ্বোধন করেন জেলা ব্যাডমিন্টন এসোসিয়েশনের সভাপতি পার্থপ্রতীম ব্যানার্জি, সম্পাদক সোমনাথ কর, মহিষাদল গার্লস কলেজের প্রিন্সিপাল কৃষ্ণা সাহা হালদার, একাডেমি প্রশিক্ষক দীনেশকুমার প্রামাণিক, খেলা প্রেমি উত্তম মাইতি, অভিজিৎ দাস, শান্তিগোপাল চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। প্রান্তিক এলাকার ছেলে মেয়েদের মধ্যে ব্যাডমিন্টন খেলার আগ্রহ বাড়িয়ে তোলার লক্ষ্যে এই ধরনের প্রশিক্ষন শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ছেলে মেয়েদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের পথচলা শুরু হয়।

জেলার বহু ছেলে মেয়ে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা অংশগ্রহন করে জেলা, রাজ্য তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করে চলেছে।আগামীদিনে এই একাডেমি থেকে বহু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছেলে মেয়ে সফল হবে এটাই উদ্যোগতাদের আশা।।

Eastmedinipur

Feb 28 2023, 19:34

*জাতীয় বিজ্ঞানদিবসে বিতর্কে পুরস্কৃত বাবুপুর অ্যাগ্রিকালচারাল হাইস্কুলের পড়ুয়ারা, খুশির হাওয়া স্কুলে*


হলদিয়াঃ পরিবর্তনশীল শক্তি সাইক্লোট্রন কেন্দ্র( Variable Energy Cycltron Centre), কলকাতা, ভারত সরকারের পারমাণবিক শক্তি দপ্তরের অধিনস্ত একটি সংস্থা জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের আরও বিজ্ঞানমনস্ক করতে কুইজ ও বিতর্ক সভার আয়োজন করেছিল। কলকাতার VECC-তে বিজ্ঞানীদের প্রাসঙ্গিক আলোচনার শেষে ওপেন কুইজ প্রতিযোগিতায় হলদিয়ার এই স্কুলের ছাত্ররা ২ টি  পুরস্কার পায়।
তারপর ৩ টি ল্যাব ভিজিট করে শুরু হয় বিতর্ক সভা। বিষয়বস্তু- "পারণবিক শক্তি- সর্বজনীন সম্বৃধ্যির  অনুঘটক।"

এই বিতর্কে বাবুপুর স্কুলের ছাত্র  নবারুণ বয়াল দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করে। পুরস্কার হিসেবে একটি চন্দন গাছ, স্মারক ও বই উপহার দেওয়া হয়। বিজ্ঞানের শিক্ষক সুরজিত হাজরা জানান, "প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রখ্যাত ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন-এর রামন এফেক্ট-এর আবিষ্কারের সম্মানে ভারতে জাতীয় বিজ্ঞানদিবস পালন করা হয়।রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পড়ুয়ারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে।  এই সাফল্য ছাত্রদের বিজ্ঞানপাঠে আরও আগ্রহী করবে।

Eastmedinipur

Feb 28 2023, 17:31

*ময়নায় রং এর দোকানে আগুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য*


ময়নাঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নয়  বৃহস্পতিবারের বাজার এলাকায় সকালে হঠাৎই একটি রঙের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে, ময়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং একটি দমকল ইঞ্জিনের সহযোগিতা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভস্মিভূত হয়ে যায় দোকানের একাধিক জিনিসপত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কার্যত শর্টসার্কিটের জেরে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ক্ষয়ক্ষতি প্রায় লক্ষাধিক টাকা।

স্থানীয় মানুষ ও দমকলের চেস্টায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার ফলে বড়সড় অগ্নিকান্ডের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে। কারন আশেপাশে বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়ি রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারতো।

Eastmedinipur

Feb 28 2023, 17:29

*প্রয়াত শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় পানিগ্রাহীর স্মরণ সভা*


মহিষাদলঃ প্রয়াত বিশিষ্ট সমাজসেবী, জনপ্রিয় শিক্ষক,জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তি মৃত্যুঞ্জয়  পানিগ্রাহীর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হলো মহিষাদল রবীন্দ্র পাঠাগারে।ভারতীয় জনতা পার্টি মহিষাদল বিধানসভা কমিটির পক্ষ থেকে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। স্মরন সভায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্ব  উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন প্রায়ত শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় পানিগ্রাহীর সহকর্মী তথা তৃণমূল সমর্থক সাগর বেরা, কংগ্রেস নেতা মাখনলাল ঘোড়াই, বিজেপির জেলা সভাপতি  তপন ব্যানার্জি,কবি শ্যামল চক্রবর্তী, প্রাক্তন  শিক্ষক রঘুনাথ পন্ডা সহ অন্যান্যরা।

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১৩ ই ডিসেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। বিজেপি,কংগ্রেস,তৃণমূল  সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের সাথে সু সম্পর্ক ছিলো। শেষ জীবনে তিনি বিজেপির সাথে যুক্ত ছিলেন। বিজেপির সাথে যুক্ত থাকলেও এলাকার রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে সুসম্পর্ক ছিলো বরাবরই।।

Eastmedinipur

Feb 28 2023, 14:35

*মৎস্য চাষিদের আগ্রহ বাড়াতে বাগদা চিংড়ি ও জীওল মাছের চারা বিতরন নন্দীগ্রামে*
নন্দীগ্রামঃ আন্দোলনের অপর নাম নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামের মানুষকে মাছ চাষের আগ্রহ বাড়াতে মৎস্য চাষিদের দেওয়া হলো বাগদা চিংড়ি ও জীওল মাছের চারা।নন্দীগ্রাম-১ ব্লক এলাকার মিষ্টি ও নোনাজলের খামার গুলো ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করছেন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য আধিকারিক। ব্লক মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে মাছ ও চিংড়ি চাষিদের তালিকা করে সংগঠিত ভাবে দল গঠন করে বিজ্ঞানসম্মত মাছ চাষের সচেতনতা দেওয়া হচ্ছে।


মিষ্টি জল ও নোনাজল উভয় চাষের ক্ষেত্রে মাছ চাষিদের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়াসী মৎস্য বিভাগ। নোনাজলে মাছ চাষে ভেনামীর চাষে বাগদা হারিয়ে যেতে বসেছে। আবার মিষ্টি জলের পুকুর ডোবায় জীওল মাছ শিঙ্গি। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যবিভাগে বাগদা ও জীওল মাছ শিঙ্গি বিনামূল্যে বিতরন করা হল। পাঁচ জন বাগদা চাষি ও কুড়ি জন জীওল মাছের চাষিদের মধ্যে বিতরন করা হয়।

এদিন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য বিভাগের কার্যালয়ে উপস্থিত চাষিদের মাছ ও চিংড়ি চাষের বিষয়ে এবং কিভাবে মাছ চিংড়ি পুকুরে ছাড়তে হবে তা বিষদে আলোচনা করেন ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মুক্তিরানী মাইতি, কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি সহ বিশিষ্টজনেরা। জীওল মাছ চাষি মাধবপুর গ্রামের তুলসি চরন দাস, নাকচিরাচর গ্রামের পশুপতি বর্মন প্রভৃতিরা বলেন, ব্লকের মৎস্য আধিকারিক আমাদের পুকুর গুলি পরিদর্শন করেছিলেন তার সাথে আমাদের জীওল মাছ চাষে প্রশিক্ষনও দিলেন। জীওল মাছ চাষি মোসারোফ হোসেন, সেখ মান্নান প্রভৃতরা শিঙ্গি মাছ পাওয়ায় খুব খুশি ।

একি সাথে এদিন বাগদা চিংড়ির মীনও বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এদিকে বাগদা চাষি স্বদেশ রঞ্জন গিরি বলেন, আমরা ভেনামী চিংড়ির চাষ করি, গত বছর বেশ লোকশান হয়েছে, এবার বাগদা মীন পেয়ে খুশি।  নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, আমরা মাছ ও চিংড়ি এর চারা বিরতন করে মাছ চাষিদের উৎসাহিত করছি, একদিকে যেমন হারিয়ে যাওয়া জিওল মাছের চাষ তেমন নোনাজলে বাগদা চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুমিতা সেনগুপ্ত মাছ –চিংড়ি চাষিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।

Eastmedinipur

Feb 28 2023, 11:01

*বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হলদিয়ার হাজরামোড় নটরাজ ড্যান্স অ্যান্ড কালচারাল অ্যাকাডেমির সদস্যরা*


হলদিয়াঃ বসন্ত এসে গেছে। বসন্ত মানেই রঙ্গিন। রঙ্গিন আনন্দে মেতে উঠতে প্রস্তুত হলদিয়ার হাজরামোড় নটরাজ ড্যান্স অ্যান্ড কালচারাল অ্যাকাডেমির সদস্যরা। আগামী ৭ ই মার্চ দোলপূর্ণিমা হলেও তার আগে দোলের আনন্দে মেতে উঠতে হলদিয়ার হাজরামোড় নটরাজ ড্যান্স অ্যান্ড কালচারাল অ্যাকাডেমি আগামী ৫ ও ৬ ই মার্চ " বসন্ত উৎসব" এর আয়োজন করেছে। গত ২৫ বছরে ধরে তারা শিল্প শহর হলদিয়ার মানুষকে রঙ্গিন রংয়ে সামিল করেছে। এবারেও তারা প্রস্তুত। নাচ,গান ও আবৃত্তির মধ্যদিয়ে দুদিন এলাকার মানুষকে আনন্দ দিতে প্রস্তুত তারা। চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।

সংস্থার প্রিন্সিপাল ছন্দা জানা জানান, কোভিডের কারনে গত দুবছর সেইভাবে আমরা বসন্ত উৎসব করতে পারিনি। এবছর কোভিড পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তাই এবছর দুদিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শিল্পশহর হলদিয়া জুড়ে বসন্তের রঙ্গিন আবিরের মধ্যদিয়ে সকলকে আপন করে নিতে আমরা প্রস্তুত। সকলের উপস্থিতে আমাদের এই প্রয়াস সফল হোক এটাই প্রার্থনা।

Eastmedinipur

Feb 28 2023, 10:58

*মাশরুম চাষ করে স্বনির্ভর হচ্ছে মহিলারা, সংসারের কাজের ফাঁকে অর্থ উপার্জন করতে পেরে খুশি মহিলারা*


তমলুক: চাকরির বিকল্প হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ব্যবসা ও চাষবাস করার প্রবনতা বাড়ছে দিনে দিনে। চাষবাস করে স্বনির্ভর হয়ে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মাশরুম চাষ করে এবার জেলার পুরুষ মহিলা থেকে যুবক যুবতীরা স্বনির্ভর হয়ে উঠছে।

মাশরুম একটি পুষ্টিকর খাদ্য। বাজারে সারা বছরই এর চাহিদা রয়েছে। মাশরুম চাষ অত্যন্ত লাভজনক। মাশরুম চাষ বিকল্প পেশার খোঁজ দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। মাশরুম বর্তমান সময়ে অন্যতম একটি জনপ্রিয় খাদ্য। এর পুষ্টিগুণ অপরিসীম। আবার নিরামিষ খাদ্য তালিকায় থাকায় আমিষ ও নিরামিষ দুই ধরনের খাদ্য অভ্যাসের মানুষজন সাদরে মাশরুম তাদের খাদ্য তালিকায় রাখেন। বর্তমান সময় এটাই সারা বছরই মাশরুমের চাহিদা রয়েছে বাজারে। মাশরুম চাষের মাধ্যমে একজন বেকার যুবক-যুবতী বা বাড়ির গৃহবধূরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে।

মাশরুম ভিটামিন বি, ডি, পটাশিয়াম, কপার, আয়রন এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ। এছাড়া মাশরুমে কোলিন নামক একটি বিশেষ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা পেশীর সক্রিয়তা ও স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে খুবই উপকারী। মাশরুম অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এর মধ্যে বিশেষ হল এরগোথিওনিন, যা বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে এবং ওজন কমাতে সহায়ক। বর্তমান সময়ে বেকারত্ব, মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান, সর্বোপরি দারিদ্র্য দূরীকরণে মাশরুম চাষ একটি সম্ভাবনাময় ফসল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথা পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া মাশরুম চাষের জন্য অত্যান্ত উপযোগী। মাশরুম চাষের জন্য কোনো উর্বর জমির প্রয়োজন হয় না। ঘরের পাশের অব্যবহৃত জায়গায় ও বাড়ির মধ্যে মাশরুম উৎপাদন করা যায় সহজেই।

তমলুকের পিপুলবাড়িয়া, চাপবসান সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশো গৃহবধূ প্রতিদিন মাশরুম বিক্রি করে গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করছেন। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এইসব গৃহবধূরা। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর প্রায় পাঁচ বছর ধরে মাশরুম চাষ করছেন। মাশরুম চাষের জন্য প্রয়োজন ধানের খড়। খড় দিয়েই তৈরি হয় মাশরুম চাষের জন্য বেড। খড়এর সঙ্গে প্রতিটি স্তরে স্তরে দেওয়া হয় মাশরুমের বীজ। এক একটি বেড তৈরি করতে খরচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এক একটি বেড থেকে মাশরুম পাওয়া যায় ঘরে তিন থেকে চার কেজি। যার বাজার মূল্য ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ফলে মাশরুম চাষ অত্যন্ত লাভজনক।

সি এ ডি সি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর উত্তম কুমার লাহা জানান, মাশরুম চাষ বেকার যুবক-যুবতী ও গৃহবধূদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলবে তাদের বিকল্প কাজের দিশা দেখাতে পারবে। মাশরুম চাষের মধ্য দিয়ে একজন বেকার যুবক-যুবতী মাসে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা রোজগার করতে পারবে। এছাড়াও ঘরের গৃহবধুরাও বাড়িতে বসে না থেকে এই কাজ করলে তারাও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। এরকম একটি গৃহবধূ বাড়ির কাজের পাশাপাশি সফলভাবে মাশরুম চাষ করে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হচ্ছেন রিংকু জানা। তিনি বলেন, মাশরুম চাষ অনেকটাই সহজ। বছরের সারা সময় মাশরুম চাষ হলেও শীতের সময় সব থেকে বেশি চাষ করা হয়। মাশরুম চাষের পরিশ্রম ও খরচ কম তাই এটি লাভজনক।